বয়স ৯০ এর ঊর্ধ্ব। সাদা সুতির শাড়ি পড়ে হাতে জাতীয় পতাকা নিয়ে স্বাধীনতা দিবসের দিন কচিকাচাদের সাথে প্রথা মেনে করেছিলেন স্বাধীনতা দিবস পালন। সামাজিক মাধ্যমে ইতিমধ্যেই এই ছবি জনপ্রিয়। মারাং বুরু চাচো মার্শাল আশ্রমের চাচো গড়ম অর্থাৎ ঠাকুমা তিনি। কিন্তু কেন তাকে আশ্রমের কচিকাচারা ঠাকুমা বলে ডাকে জানেন?
শুনুন গণ দর্পণ নিউজ র এই প্রতিবেদ
বাঁকুড়ার শুশনিয়া পাহাড়ের কোলে হাপানিয়া -রামনাথপুর গ্রামের মারাং বুরু চাচো আশ্রম। মুলত আদিবাসী সম্প্রদায়ের কচিকাচাদের নিয়ে এই আশ্রম। আশ্রমের পড়ুয়াদের সংখ্যা ১৫০ এর অধিক। এই আশ্রমের গড়ম অর্থাৎ ঠাকুমা ছোটমনি টুডু। বয়স ৯০ এর উর্ধ্বে, পড়াশুনা খুব একটা না জানলেও আশ্রমের ছেলে মেয়েদের যেন তিনি " ঠাকুমার ঝুলি " গল্পের বই। বয়স কে তোয়াক্কা না করেই আজও পরাধীন দেশের গল্প শোনান আশ্রমের বাঁচ্চাদের। ঠাকুমা ছোটমনি টুডু দেখেছিলেন সাদা সাহেব ইংরেজদের। পরাধিন দেশে ইংরেজদের অত্যাচারকেউ তিনি দেখেছেন খুব কাছে থেকে। তাই বাচ্চাদেরকে আজো বলেন সেই ইংরেজ আমলের কাহিনী। তাই স্বাধীন দেশের ৭৯ তম স্বাধীনতা দিবসের স্বাদ যেন তার কাছে অমৃতের সমান।
আশ্রমের ছেলে মেয়েদের কথায় ঠাকুমার কাছে গান, স্বাধীনতার গল্প শুনতে তাদের খুব ভালো লাগে। ঠাকুমা আশ্রমে সকলের খোঁজ খবর নেন। ...
অন্যদিকে নিজের মায়ের কাছে থেকে পরাধীন দেশের লাল পোষাক পরা ইংরেজ দের গল্প শুনেছেন আশ্রমের চাচো বাবা বাবুনাথ টুডু। তিনি বলেন মা শারীরিক অসুস্থতার কারণে কিছুটা স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়েছে । তাও আজও বাচ্চাদের সাথে তিনি বিভিন্ন গল্প, কাহিনি, গানে মেতে থাকেন।...
ঠাকুমা ছোটমনি টুডুর কথায় তখন দেশ স্বাধীন হয়নি। সাদা পারা সাহেবদের দেখেছি, তারা অত্যাচার করতো। তারা বিভিন্ন জিনিসপত্র গ্রামের মানুষের কাছে থেকে কাড়িয়ে নিয়ে যেত। এখন সেই দিনে কথা মনে করে বাচ্চাদের সাথে গল্প করে দিন কাটে তার...
তাই আশ্রমের বাচ্চাদের কাছে ঠাকুমা ছোটমনি যেন আস্তো এক " ঠাকুমার ঝুলি " যে ঝুলি আজও সেই পরাধীন দেশের কাহিনি তুলে ধরে বাচ্চাদের।
0 تعليقات